اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালালিকা ’আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনি বি ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।
অর্থঃ হে আল্লাহ তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল রিযিক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও ( হালাল রুজিই যেন আমার জন্য যথেষ্ট হয় ) এবং হারামের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন এবং প্রবণতা বোধ না করি এবং তোমার অনুগ্রহ অবদান দ্বারা তুমি ভিন্ন অন্য সকল হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।
উৎসঃ
আবু দাউদ, ১ : ২১৬ , তিরমিযী হাঃ ৩৫৬৩,
উপকারিতাঃ
হযরত আবু ওয়ায়েল (রহঃ) বলেন, একজন মুকাতাব (মুক্তিপন আদায়ের শর্তে আযাদকৃত গোলাম) হযরত আলী (রাযিঃ) এর খেদমতে হাজির হইয়া আরজ করিল, আমি (মুক্তিপনের নির্ধারিত) মাল আদায় করিতে পারতেছি না। হযরত আলি (রাযিঃ) বলিলেন, আমি কি তোমাকে সেই কালিমাগুলি শিখাইয়া দিব না যাহা রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শিখাইয়াছিলেন? যদি তোমার উপর (ইয়ামানের) শীর পাহাড় সমতূল্য ঋনও হয় তবে আল্লাহ তা’আলা সেই ঋনকে আদায় করিয়া দিবেন। তুমি এই দু’আ পড়–
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
অর্থঃ আয় আল্লাহ, আমাকে আপনার হালাল রুজি দান করিয়া হারাম হইতে বাচাইয়া নিন এবং আপনার ফজল ও মেহেরবানীর দ্বারা আপনি ব্যাতীত অন্যদের হইতে অমুখাপেক্ষী করিয়া দিন। (তিরমিজী)
ফায়দাঃ মুকাতাব সেই গোলামকে বলা হয় যাহাকে তাহার মনিব বলিয়াছে যে, যদি তুমি এত মাল এত সময়ের ভিতরে আদায় করিয়া দিতে পার তবে তুমি আযাদ হইয়া যাইবে। যে মাল নির্ধারিত হয় উহাকে ’বদলে কিতাবাদ’ বা মুক্তিপন বলা হয়।
২- حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه أَنَّ مُكَاتَبًا، جَاءَهُ فَقَالَ إِنِّي قَدْ عَجَزْتُ عَنْ كِتَابَتِي فَأَعِنِّي . قَالَ أَلاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ عَلَّمَنِيهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوْ كَانَ عَلَيْكَ مِثْلُ جَبَلِ صِيرٍ دَيْنًا أَدَّاهُ اللَّهُ عَنْكَ قَالَ “ قُلِ اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
‘আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, একটি চুক্তিবদ্ধ গোলাম তার নিকটে এসে বলে, আমার চুক্তির অর্থ পরিশোধ করতে আমি অপারগ হয়ে পড়েছি। আমাকে আপনি সহযোগিতা করুন। তিনি বললেন, আমি তোমাকে কি এমন একটি বাক্য শিখিয়ে দিব না যা আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়েছিলেন? যদি তোমার উপর সীর (সাবীর) পর্বত পরিমাণ ঋণও থাকে তবে আল্লাহ তা’আলা তোমাকে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন। তিনি বলেনঃ তুমি বল, “হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম হতে বিরত রাখ বা দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ব্যতীত অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া হতে আমাকে আত্মনির্ভরশীল কর”।(তিরমিযী হাঃ ৩৫৬৩,)