1 Answers
Best Answer
তাহাজ্জুদ, রাতের নামাজ বা কিয়ামুল লাইল নামেও পরিচিত। ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য একটি ঐচ্ছিক ইবাদত। এটা বাধ্যতামূলক পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের অন্তর্ভুক্ত নয়। শরিয়তের পরিভাষায় রাত দ্বিপ্রহরে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় যে নামাজ আদায় করা হয় তা ‘সালাতুত তাহাজ্জুদ’ বা তাহাজ্জুদ নামাজ। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সব নফল ইবাদতের চেয়ে অধিক। এটি আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। নবী করীম (সা.) তাহাজ্জুদ সব সময় পড়তেন। তাই এটি সুন্নত, অতিরিক্ত হিসেবে নফল। মুসলিম শরীফের ৪০৫ নং হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত নবী কারিম (সা.) বলেন, ফরজ নামাজের পর উত্তম নামাজ হলো রাতের তাহাজ্জুদ। তাহাজ্জুদ একাকী পড়াই উত্তম। জামাতে পড়া অনেক মুজতাহিদ ফকিহ মকরুহ বলেছেন। তাই অন্য সব সুন্নত ও নফলের মতো তাহাজ্জুদ নামাজের সুরা কিরাত নিম্ন স্বরে পড়তে হয়। সেইসঙ্গে এর জন্য কোনো ইকামতেরও প্রয়োজন হয় না। রমজানে তাহাজ্জুদ আদায় করা খুব সহজ। তাহাজ্জুদ দুই দুই রাকাত করে ৮ রাকাত বা আরও কম বা বেশিও পড়া যায়। পবিত্র মাহে রমজানে নফলের সওয়াব ফরজের সমান, ফরজের সওয়াব সত্তর গুণ। রমজানে তারাবী নামায বলতে আমরা যা বুঝি এক কথায় তাহাজ্জাদ নাময। নবী করীম (সা.) ইহ জগতে রাতে কখনো ৮ রাকাত এর বেশি নামায আদায় করেননি এবং তারাবী নাম দিয়ে কোন নামায আদায় করেননি। রমজানে রাতে উঠে সেহরি আয়োজন করা তাহাজ্জাদ আদায় করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে ভেবে একদিন এশার নামায এর পরেই নবী করীম (সা.) তাহাজ্জাদ এর ৮ রাকাত জামাতে আদায় করেছিলেন, পরদিন আরও জামাত বড় হয়ে যাবে লোকজন ভীর দেখে নবী করীম (সা.) ঘরে ফিরে আসেন। নবী করীম (সা.) ভিতু ছিলেন কারন আল্লাহ হয়তো এটা ফরয করে দিবেন। এক কথায় আল্লাহ কে খুশি করতে আপনি একাকি আল্লাহ কে নিরিবিলিতে চোখের পানি ফেলে নিজের পানাহ চাইবেন। আল্লাহ শুধু রাতেই আপনার কথা শুনবেন এমন কোন হাদিস নেই। তাই প্রধান গুরুত্ত হল ৫ ওয়াক্ত সালাত ফরয আদায় করা। জার হিসাব আল্লাহ চাইবেন, তাহাজ্জাদ বা নফল আমলের চাইবেন না। আশা করি উত্তর পেয়েছেন।
Please login or Register to submit your answer